কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার ছোট ধুশিয়া এলাকার সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলার সহকারি সরকারি কৌশলী (এপিপি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, জমি জমার সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার এক নম্বর আসামি মোঃ মাসুমসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় ২২ জনকে নামোল্লেখসহ আসামিসহ আরো অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের চার্জশিট প্রদান করে। বিজ্ঞ বিচারক আজকের এই মামলার রায় প্রদান করেছেন। আমি এতে সন্তুষ্ট।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ব্রাহ্মণপাড়ার ছোট ধুশিয়া এলাকার মোঃ মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মোঃ মোস্তফা (২৪), আব্দুল কাইয়ূম (২৮), মোঃ কাইয়ূম (২৫)ও তবদল হোসেন (৪০)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন একই এলাকার মোঃ নান্নু (৪০), আব্দুল মতিন (৪০), সাইদুল হোসেন (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), মোঃ সফিক (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মোঃ মোসলেম মিয়া (৩৫),মোঃ হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০). মোঃ সফিক (২৮) ও আব্দুল আউয়াল। মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন, মোঃ হিরন মিয়া (৪০), মনিরুল হক (২৬)।
মামলার এপিপি মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন, অপর ৭ আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে ২ আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন বিচারক। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের স্বাচিব সভাপতি ডাক্তার মোঃ রবিউল করিমকে বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের দমন নিপড়নকারী ও ত্রিপল...
Read more